Bangladesh ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মুরাদনগরে প্রশাসনের অভিযানে ৩ মাসে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা, ১১০টি ড্রেজার অপসারণ ও ৯০ হাজার ফুট পাইপ বিনষ্ট করেছে মুরাদনগরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সিএনজি গ্যারেজ পুড়ে ছাই, ৪৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সমস্যা বাঁ চোখে, ডানটিতে অপারেশন করা সেই চিকিৎসক গ্রেপ্তার নতুন বছরে প্রথমবার কত বাড়ল স্বর্ণের দাম! মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে ইট তৈরির চাহিদা মেটাতে কাটা হয়েছে এক হাজার একর কৃষি জমির মাটি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের ‘মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা’ দেওয়ার আহ্বান নিলয়ের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন পড়শী কুমিল্লায় এক মাসে ৭ খুন, ২৫ নারী-শিশু নির্যাতন মুরাদনগরে ফসলি জমি রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের দিন-রাত্রি অভিযান

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘানিশিল্প

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল গবাদিপশু-চালিত ঘানি তেল শিল্প। একসময় এই ঘানিতে সরিষা ও তিলসহ বিভিন্ন তেলবীজ থেকে উৎপাদিত খাঁটি তেল গ্রামীণ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিচিত ছিল। পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত এই শিল্প গ্রামীণ অর্থনীতির একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছিল। তবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার, মেশিনে তেলের সহজলভ্যতা এবং নতুন প্রজন্মের অনাগ্রহের কারণে ঘানি তেল শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের কাজল গ্রামের মো. আছিমুদ্দিন (৬৫) তার পৈতৃক সূত্রে ৩৫-৪০ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত। তার ভাষায়, একসময় প্রতিটি বাড়িতেই তেল ভাঙানোর প্রচলন ছিল। কাঠ দিয়ে তৈরি ঘানি মেশিন এক বছর ধরে ব্যবহার করা যায় এবং এটি তৈরি করতে প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। ৬ কেজি সরিষা থেকে ২ লিটার তেল এবং ৪ কেজি খৈল পাওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘানিশিল্প

আপডেট সময় : ০১:২৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল গবাদিপশু-চালিত ঘানি তেল শিল্প। একসময় এই ঘানিতে সরিষা ও তিলসহ বিভিন্ন তেলবীজ থেকে উৎপাদিত খাঁটি তেল গ্রামীণ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিচিত ছিল। পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত এই শিল্প গ্রামীণ অর্থনীতির একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছিল। তবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার, মেশিনে তেলের সহজলভ্যতা এবং নতুন প্রজন্মের অনাগ্রহের কারণে ঘানি তেল শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের কাজল গ্রামের মো. আছিমুদ্দিন (৬৫) তার পৈতৃক সূত্রে ৩৫-৪০ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত। তার ভাষায়, একসময় প্রতিটি বাড়িতেই তেল ভাঙানোর প্রচলন ছিল। কাঠ দিয়ে তৈরি ঘানি মেশিন এক বছর ধরে ব্যবহার করা যায় এবং এটি তৈরি করতে প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। ৬ কেজি সরিষা থেকে ২ লিটার তেল এবং ৪ কেজি খৈল পাওয়া যায়।